২৮ ডিসেম্বর বুধবার, যশোরের নওয়াপাড়ায় নৌ প্ররিবহন প্রতিমন্ত্রি খালিদ মাহমুদ চৌধূরী বলেন, নদীর ওপর অপরিকল্পিত ভাবে ব্রিজ নির্মাণ করে নদীতে পলি জমে নাব্যতা হারাচ্ছে।

এভাবে দীর্ঘ দিন পলি জমে এক সময় নদী মারা যায়। তিনি বুধবার দুপুরে নওয়াপাড়ায় অভ্যান্তরিণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের কার্যালয়ে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও ব্যবসায়ি নের্তৃবৃন্দের সাথে এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন।

মন্ত্রী আরো বলেন, নওয়াপাড়ায় ভৈরব সেতু নির্মাণে নদীর মধ্যে অহেতুক ৫টি পিলার উঠানো হয়েছে। সেতুর ওই ডিজাইন ভুল ছিলো।ওই সব পিলারের জন্য সেতুর পাশে বিশাল চর পড়েছে এর জন্য তিনি স্থানীয় নের্তৃবৃন্দকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন নের্তৃবৃন্দের উচিৎ সরকারের উন্নয়ন কাজ বুঝে নেওয়া, যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্মরা তার সুফল ভোগ করতে পারে।

নওয়াপাড়া বন্দর দেশের মধ্যে অন্যতম নৌবন্দর , বন্দর সচল রাখতে খুলনা বিভাগীয় পর্যায়ে এখানে ড্রেজিং জোন করা হয়েছে। এ ছাড়া বন্দরকে আরো উন্নত করার জন্য সাড়ে তিন’শ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি অবৈধ দখলদারদের নিজ উদ্যোগে স্থাপনা উচ্ছেদ করে নদী দখল মুক্ত করার আহবান করেন। যদি তারা তা না করে তাহলে বুড়িগঙ্গা,শীতলক্ষা, তুরাগ নদীর দখলদারেদের মতো তাদের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।

এর আগে নদীর সার্বিক অবস্থা তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন,বাাংলাদেশ অভ্যান্তরিণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক,উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেজবাহ উদ্দীন, উপজেলা চেয়ারম্যান শাহ ফরিদ জাহাঙ্গীর, নওয়াপড়া সার ও খাদ্য শষ্য ব্যবসায়ি নেতা আব্দুল গণি সরদার, উপজেলা আ.লীগের সভাপতি এনামুল হক বাবুল, সাধারণ সম্পাদক অলিয়ার রহমান সরদার, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক , পৌরসভার মেয়র সুশান্ত দাস শান্ত প্রমুখ।